-
- অপরাধ, শিক্ষা, সারাদেশে
- জৈন্তাপুরে অচেতন করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাএী কে ধর্ষন, বিডিও চিএ ধারন
- আপডেট সময় May, 10, 2020, 11:49 pm
- 402 বার পড়া হয়েছে
সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছদ্দ নাম কলি(ভিকটিম)সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল এল বি ১ম সেমিষ্টারে লেখা পড়া করে। সিলেট শহরে মহিলা হোষ্টেলে থাকেন। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ববে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে ভিকটিম বাড়ীতে তাহার পিতা মাতার সাথে বাস করছেন। আসামী কয়েস ও সহযোগী ভিকটিমের একই গ্রামের বাসিন্দা এবং ২নং আসামী সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হয়। প্রায় সময় ভিকটিম সিলেট থেকে বাড়িতে আসা যাওয়া কালে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়ীতে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন গল্প গুজব করতো। আসামী সুমি বেগম খালা সম্পর্ক হওয়ায় ভিকটিম সরল বিশ্বাসে তাহার বাড়ীতে যাওয়া আসা করেন। কিন্তুু দুশ্চরিত্র আসামী কয়েস ভিকটিমের এতবড় সর্বনাশ করিবে তাহা কখনও জানা ছিল না। ঘটনার দিন তারিখ ০২/০৫/২০২০ খ্রিঃ আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়িতে ইফতারির দাওয়াত দেয় কিন্তু ভিকটিম যাইতে রাজী ছিলেন না। তারপরও আসামী সুমি বেগম অনেক অনুরোধে ভিকটিমের পিতা মাতাকে বলিলে ইফতারের কিছু আগে আসামীদ্বয়ের বাড়িতে যায় কলি।
ইফতার করিয়া কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত অনুঃ ০৮.০০ ঘটিকার সময় আসামী সুমি বেগম কৌশলে চায়ের সাথে নেশা জাতীয় কোন কিছু মিশাইয়া ভিকটিমকে চা খাইতে দেয়। যাহা ভিকটিমের জানা ছিল না। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে চা খাওয়ার পরে অচেতন হইয়া পড়িলে আসামী সুমি বেগমের সহায়তায় আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েকবার ধর্ষন করে এবং উলঙ্গ অবস্থায় সুমি ছদ্দ নাম কলির ধর্ষনের ভিডিও চিএ মোবাইলে ধারন করে, এইভাবে আসামী কয়েছ আহমদ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে অচেতন অবস্থায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ভিকটিমের চেতন ফিরিলে আসামী কয়েছ আহমদকে পাশে দেখিয়া ভিকটিম চিৎকার দিলে আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরিয়া রাখে। ভিকটিম আসামীর সাথে অনেক ধস্তাধস্তি করিয়া কোন ভাবে তাহার পিতার মাতাকে সংবাদ দিলে তাহার পিতা মাতা সহ স্বজন এই সংবাদ পাইয়া দ্রত আসামীদ্বয়ের বাড়িতে আসেন। ভিকটিম সকলের নিকট ঘটনা বিস্তারিত বলেন, এই সময় ভিকটিমের মা কৌশলে আসামীর মোবাইল সংগ্রহ করিয়া নেয়। ভিকটিম তাহার আত্বীয় স্বজনের পরামর্শে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা নেয়।এবং এই অভিযোগের ভিক্তিতে ভিক্টিম এর স্বজন জৈন্তাপুর মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং-০১, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)/৩০, তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩২৮ ধারা এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) এর একটি মামলা দায়ের করা হয়।জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া র্যাব-৯, সিলেটের সহযোগীতায় সিলেট হইতে অদ্য ০৯/০৫/২০২০ খ্রিঃ, রাত ০১:৩৫ ঘটিকায় আসামী ১। কয়েছ আহমদ (৩৫), পিতা- রেনু মিয়া, ২। সুমি বেগম (৩০), স্বামী-কয়েছ আহমদ, উভয় সাং- কমলাবাড়ী মোকামটিলা, থানা- জৈন্তাপুর, জেলা-সিলেটকে গ্রেফতারপূর্বক অদ্য ০৯/০৫/২০২০ তারিখ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/ ১০ মে ২০২০/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর